এক্স মাকিনা (২০১৪) অ্যালেক্স গারল্যান্ড পরিচালিত সায়েন্স ফিকশন ফিল্ম।
ছবিতে কম্পিউটার প্রোগ্রামার কেলিব ব্লু-বুক কর্পোরেশনে কাজ করে। লটারি জেতার পুরস্কার হিসাবে ব্লু-বুক রিসার্চ সেন্টারে যাওয়ার আমন্ত্রণ পায়।
শহরের বাইরে জঙ্গলে ব্লু-বুক রিসার্চ সেন্টার নাথান নামে এক বিজ্ঞানী একা পরিচালনা করে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিষয়ে গবেষণারত নাথান দাবি করে সে ইতিহাসে প্রথম মানুষের সমপর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিসম্পন্ন রোবট তৈরি করেছে।
নাথান দাবি করে তার তৈরি রোবট এভা মানুষের মত অনুভূতিসম্পন্ন। টুরিং টেস্ট এর মাধ্যমে তা প্রমাণ করার জন্য কেলিবকে সে টেস্টে অংশ নিতে বলে।
নাথানের প্রস্তাবে কেলিব রাজি হয়। টেস্টের বিভিন্ন সেশনে কেলিবের কাজ হল এভাকে প্রশ্ন করে উত্তর যাচাই করে দেখা। নাথান সেশনগুলি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকে। টেস্টের মাধ্যমে কেলিব এভার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। এভা মানুষের মত অনুভূতিসম্পন্ন বলে বিশ্বাস করা শুরু করে কেলিব।
নাথান এভাকে কীভাবে তৈরি করেছে তা কেলিবকে ব্যাখ্যা করে বলে। কেলিবকে সে জানায় লটারির ফলাফল আগে থেকে ঠিক করা। ব্লু-বুক কর্পোরেশনের সেরা কোডার হিসাবে কেলিবকে নাথান নিজে রিসার্চ সেন্টারে আনার ব্যবস্থা করেছে।
রিসার্চ সেন্টারের সিকিউরিটি সিস্টেম নিয়ে একসময় সন্দেহ হয় কেলিবের। সে দেখতে পায় সেন্টারের বাইরে যোগাযোগ নাথান পুরোপুরি নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
টুরিং টেস্ট এর এক পর্যায়ে এভা কৌশলে কেলিবকে নাথান সম্পর্কে তার সন্দেহের কথা জানায়। কেলিব রিসার্চ সেন্টারের ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখতে পায় এভার আগে তৈরি রোবটগুলিকে নাথান কীভাবে রিপ্রোগ্রাম করে পরিবর্তন করেছে।
এভাকেও রিপ্রোগ্রাম করার পরিকল্পনার কথা নাথান কেলিবকে জানায়। কেলিব ঠিক করে সে এভাকে রিসার্চ সেন্টার থেকে পালাতে সাহায্য করবে।
অস্কার আইজ্যাক বিজ্ঞানী নাথানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ২০১৩ সালের ‘ইনসাইড লিউইন ডেভিস’ ও ২০১৪-এর ‘এ মোস্ট ভায়োলেন্ট ইয়ার’ ছবি দুটির সাফল্যের পর ‘এক্স মাকিনা’ ছবিতেও তার কাজ প্রশংসিত হচ্ছে।
ডমন্যাল গ্লিসন কেলিব চরিত্রে এবং এলিসিয়া ভিক্যান্ডার এভা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবিটির কাহিনী ও পরিচালনা অ্যালেক্স গারল্যান্ড এর। এর আগে তার লেখা ‘দ্যা বীচ’ উপন্যাস অবলম্বনে ড্যানি বয়েল ছবি বানান। ‘সানশাইন’ ছবিটির কাহিনীও তার লেখা।
‘এক্স মাকিনা’ গারল্যান্ডের পরিচালিত প্রথম ছবি।