পৃথিবী জুড়ে গড়ে প্রতিদিন ১৩৭ জন নারী তাদের বর্তমান বা প্রাক্তন সঙ্গী অথবা পরিবারের সদস্যদের হাতে খুন হন।
সারাবিশ্বে সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যদের হাতে যারা নিহত হন, তাদের মধ্যে প্রায় ৬৪ শতাংশই নারী। জাতিসংঘ থেকে প্রকাশিত নারীহত্যা সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন অনুসারে, প্রাক্তন অথবা বর্তমান সঙ্গীদের হাতে নিহতদের মধ্যে ৮২ শতাংশই নারী।
প্রায় ক্ষেত্রেই নারীদের প্রতি সহিংসতার শুরু হয় একধরনের বৈষম্যমূলক মনোভাব থেকে। এই ধরনের মনোভাবের ফলে অনেকেই পুরুষদেরকে নারীদের চাইতে বেশি ক্ষমতাধর হিসেবে চিন্তা করে। তাদের ধারণা অনুসারে নারীরা কখন কী করবে, কীভাবে পোশাক পরবে কিংবা কীভাবে আচরণ করবে, সেসব নির্ধারণ করবে পুরুষ।
জাতিসংঘ থেকে প্রকাশিত সেই গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, যারা এই ধরনের মনোভাব পোষণ করেন, তাদের মধ্যে নারীদের প্রতি মারাত্মকভাবে সহিংস হয়ে ওঠার আশঙ্কা বেশি রয়েছে। এছাড়াও নারীদের প্রতি সহিংসতার মাত্রা বেশি হওয়ার পিছনে অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে শিক্ষার অভাব, শৈশবে বা জীবনের অন্য কোনো সময়ে সহিংসতার শিকার হওয়া এবং নিয়ন্ত্রণহীন মদ্যপান।
মহাদেশ অনুসারে হিসাব করলে এশিয়ায় সবচাইতে বেশি নারীহত্যার ঘটনা ঘটে।
বছরে প্রায় ২০,০০০ নারীহত্যার ঘটনা ঘটে শুধু এশিয়াতেই।
এশিয়ার পরেই আফ্রিকায় সবচেয়ে বেশি নারীহত্যা সংঘটিত হয়। আফ্রিকা মহাদেশে বছরে ১৯,০০০ নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তুলনামূলকভাবে নারীদের জন্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক জায়গা আফ্রিকা। সেখানে প্রতি ১০০,০০০ জনের মধ্যে ৩.১ জন নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এশিয়ার ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ০.৯, আমেরিকার ক্ষেত্রে ১.৬ এবং ইউরোপের ক্ষেত্রে ০.৭।