২০১৬ সালে প্রচারিত ওয়েস্টওয়ার্ল্ড সিরিজের প্রথম সিজন নিয়ে ধারাবাহিক রচনা। মোট ১০ পর্বে প্রকাশিত। এটি প্রথম পর্ব।
সিজন ১, এপিসোড ১
দ্য অরিজিন্যাল
ওয়েস্টওয়ার্ল্ড নতুন টিভি সিরিজ। অক্টোবরের ২ তারিখ (২০১৬) থেকে এইচবিওতে শুরু হয়েছে। ওয়েস্টওয়ার্ল্ড এর ব্যাপারে আগ্রহ তৈরি হয়েছিল গত বছরের শুরুর দিকে। এই সিরিজের ট্রেলার বের হওয়ারও অনেক আগে। আগ্রহের কারণ, জোনাথন নোলান তখন এই সিরিজ নিয়ে কাজ শুরু করেছেন।
আশরাফুল আলম শাওন
জোনাথন নোলান সিনেমার স্টোরি এবং স্ক্রিপ্ট রাইটার। মেমেন্টো, দ্য প্রেস্টিজ, দ্য ডার্ক নাইট, দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস, ইন্টারস্টেলার—এইসব সিনেমার স্ক্রিপ্ট জোনাথন নোলানের। সবগুলি সিনেমার পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলান। আর জোনাথন নোলান হচ্ছেন ক্রিস্টোফার নোলানের ছোট ভাই। জোনাথন নোলানের ‘মেমেন্টো মোরি’ গল্প থেকেই ক্রিস নোলানের কাল্ট ছবি ‘মেমেন্টো’র আইডিয়া আসে।
জোনাথন নোলানের কাজ বা লেখা সুন্দর। ‘মেমেন্টো মোরি’ আমার খুব প্রিয় একটা লেখা। ‘মেমেন্টো মোরি’ গল্পটা ‘মেমেন্টো’ ছবির কাহিনি থেকে কিছুটা আলাদা। গল্পটাতে সিনেমার মত প্রতিশোধ বা থ্রিলারের ব্যাপারটা নাই। ‘মেমেন্টো মোরি’তে একটা ক্যারেক্টারের গল্পের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে একজন ইন্ডিভিজ্যুয়াল পার্সনের সাথে টাইম বা সময়ের সম্পর্ক কেমন; মানুষের স্মৃতি সময়ের ওপর নির্ভরশীল বলে স্মৃতির ফিজিক্যাল বা বস্তুগত কোনো রূপ নাই; মানুষের ব্রেইন এবং টাইমের মধ্যে এক ধরনের সম্পর্কের ফলাফল মেমোরি বা স্মৃতি, এইসব।
তবে জোনাথন নোলানের ‘পার্সন অব ইন্টারেস্ট’ টিভি সিরিজ দুই-তিন পর্ব দেখার পরে আমি দেখি নাই। ভাল লাগে নাই।
‘ওয়েস্টওয়ার্ল্ড’ জোনাথন নোলানের সেকেন্ড টিভি সিরিজ। জোনাথন নোলান এবং তার স্ত্রী লিসা জয় নোলান এই টিভি সিরিজের ক্রিয়েটর। এই সিরিজের সাথে আমেরিকার সায়েন্স ফিকশন ওয়ার্ল্ডের আরেক বিখ্যাত লেখক আছেন, জে জে আব্রামস। তিনি এই সিরিজের প্রডিউসার।
‘ওয়েস্টওয়ার্ল্ড’ টিভি সিরিজটা মাইকেল ক্রিচটনের লেখা ১৯৭৩ সালের একই নামের একটা সিনেমা অবলম্বনে বানানো হয়েছে।
‘ওয়েস্টওয়ার্ল্ডে’র কাহিনি সায়েন্স ফিকশন ধরনের। সাথে কিছুটা ওয়েস্টার্ন ফ্লেভার আছে।
‘ওয়েস্টওয়ার্ল্ড’ নিয়ে এই লেখাটা ধারাবাহিক, পর্বভিত্তিক। ‘ওয়েস্টওয়ার্ল্ডে’র একটা করে এপিসোড নিয়ে প্রতি পর্বে আলোচনা করা হবে।
ওয়েস্টওয়ার্ল্ড টিভি সিরিজের প্রথম পর্বের নাম ‘দ্য অরিজিনাল’।
ওয়েস্টওয়ার্ল্ড একটা থিম পার্কের নাম। ‘ওয়েস্টার্ন’ সিনেমায় যে ধরনের কাউবয় টাইপের পরিবেশ ও লোকেশন দেখা যায়, এই পার্কও সেরকম। এই পার্কের ভিতরের শহর, বাড়িঘর সেই ধরনের। শহরের বাইরে পাথরের বড় বড় পাহাড়।
ওয়েস্টওয়ার্ল্ড থিম পার্কে স্থায়ীভাবে অনেক মানুষ বাস করে। তাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক। কিন্তু ওয়েস্টওয়ার্ল্ড থিম পার্কের স্থায়ী বাসিন্দাদের কেউই সত্যিকারের মানুষ বা হিউম্যান বিইং না। তারা সিনথেটিক হিউম্যান। ল্যাবরেটরিতে বানানো এবং প্রোগ্রাম করা। তাদের আচরণ, তাদের কাজকর্ম, তাদের অতীত জীবন, স্মৃতি, তারা কে কীভাবে চিন্তা করবে, কখন কাকে কী বলবে সবই প্রোগ্রাম করা। তাদেরকে বলা হয় হোস্ট।
ওয়েস্টওয়ার্ল্ড থিম পার্কে স্থায়ীভাবে অনেক মানুষ বাস করে। তাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক। কিন্তু এই পার্কের স্থায়ী বাসিন্দাদের কেউই সত্যিকারের মানুষ বা হিউম্যান বিইং না। তারা সিনথেটিক হিউম্যান। ল্যাবরেটরিতে বানানো এবং প্রোগ্রাম করা।
ওয়েস্টওয়ার্ল্ডের ডিজাইন এবং এখানকার অধিবাসীদের প্রোগ্রাম করেছে কয়েকজন বিজ্ঞানী ও প্রোগ্রামার। তারাই এই পার্ক পরিচালনা করে।
বাইরে থেকে সত্যিকারের কিছু মানুষ অ্যাডভেন্চারের জন্য ডলারের বিনিময়ে ওয়েস্টওয়ার্ল্ডে আসতে পারে। ওয়েস্টওয়ার্ল্ডের হোস্টরা তাদেরকে বলে নিউ কামার। ওয়েস্টওয়ার্ল্ডের প্রোগ্রাম এমন যে, হোস্টরা নিউ কামারের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
ওয়েস্টওয়ার্ল্ডের প্রথম পর্বের শুরুতে দেখা যায় ল্যাবরেটরিতে বসে একজন প্রোগ্রামার ডোলোরেস নামের একজন সিনথেটিক ফিমেল হিউম্যান বা মেয়ে হোস্টকে প্রশ্ন করছে।
প্রোগ্রামার তাকে জিজ্ঞেস করে, তুমি কি জানো তুমি এখন কোথায় আছো?
ডোলোরেস উত্তর দেয়, একটা স্বপ্নের ভিতরে।
প্রোগ্রামার তখন বলে, তুমি কি এই স্বপ্ন থেকে জেগে উঠতে চাও?
ডোলোরেস বলে, হ্যাঁ।
প্রোগ্রামার প্রশ্ন করে, হ্যাভ ইউ এভার কোয়েশ্চেনড দ্য নেচার অব ইয়োর রিয়ালিটি? অর্থাৎ, তুমি কি তোমার বাস্তবতার ধরনকে কখনো সন্দেহ করেছো?
ডোলোরেস উত্তর দেয়, “না”।
এই আলাপ, ওয়েস্টওয়ার্ল্ডের হোস্টদের প্রোগ্রাম করা—এইসব কিছুর সাথে একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপারের সম্পর্ক আছে। সেই ইন্টারেস্টিং ব্যাপারটা হল, আমরা, মানে আমাদের এই পৃথিবী, মহাবিশ্ব, বাস্তবতা, অস্তিত্ব সবকিছুই একটা সিমুলেশনের ভিতরে আছে—এরকম একটা হাইপোথিসিস বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিকভাবে চালু আছে। নিশ্চিত হওয়ার উপায় যেহেতু নাই, ফলে অবশ্যই, এখন পর্যন্ত এটা হাইপোথিসিস। এই সিমুলেশনের ভিতর আমাদের অস্তিত্ব, মহাবিশ্ব, সময় কীভাবে চলবে তার একটা অ্যালগরিদম আছে এবং সেই অ্যালগরিদম দিয়ে সবকিছু প্রোগ্রাম করা।
কম্পিউটার গেম থেকে সিমুলেশনের ব্যাপারটা বোঝা যাবে—গেমের ভিতরের নিয়ম, মানুষজন, যা কিছু আছে সবকিছুই প্রোগ্রাম করা। গেমের ভিতরের জগতে গেমের ভিতরের মানুষজন প্রোগ্রাম অনুযায়ী সবকিছু করছে, কিন্তু বাইরে থেকে আমাদের কাছে ওই জগত বাস্তব না। আমাদের কাছে গেমের ভিতরের জগত একটা প্রোগ্রামের বেশি কিছু না।
আমাদের এই অস্তিত্বকেও প্রোগ্রামের সিমুলেশন মনে করা হয়।
সেই সিমুলেশনের আইডিয়াটাই আসলে ওয়েস্টওয়ার্ল্ডে দেখানো হচ্ছে।
প্রোগ্রামার যখন ডোলোরেসকে প্রশ্ন করে—হ্যাভ ইউ এভার কোয়েশ্চেনড দ্য নেচার অব ইয়োর রিয়ালিটি? তখন আমাদের রিয়ালিটির ব্যাপারটাও চলে আসে। ‘দ্য ম্যাট্রিক্সে’র কথা মনে হয়।
‘দ্য ম্যাট্রিক্স’ সিনেমাতে মরফিউস বলে নিওকে, ম্যাট্রিক্স এমন একটা দুনিয়া যা তোমাকে সত্যটা দেখতে দেয় না।
নিও প্রশ্ন করে, কীসের সত্য?
মরফিউস বলে, সত্যটা হল অন্য সবার মত একটা চেইন সিস্টেমের মধ্যে তোমার জন্ম। এই জগতটা তোমার মনের ভিতরের একটা কারাগার।
দ্য ম্যাট্রিক্সে মরফিউস একটা সময় নিওকে বলে, ওয়েলকাম টু দ্য ডেজার্ট অব দ্য রিয়াল।
সবকিছুই যে একটা প্রোগ্রামের ভিতর আছে এটাই রিয়াল। তারা যা কিছু দেখছে, তার অস্তিত্ব নেই, সবকিছুই কম্পিউটারে লেখা কোডের সিমুলেশন—এটাই রিয়াল।
সিমুলেশন বা প্রোগ্রামিং নিয়ে পরে অন্য কোথাও বলা যাবে। এই লেখায় ওয়েস্টওয়ার্ল্ডেই থাকি।
বাইরে থেকে পাওয়ার অন করে দিলে ওয়েস্টওয়ার্ল্ড চলে। পাওয়ার অফ করে দিলে সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়, হোস্টেরা নিথর পুতুলের মত পড়ে থাকে।
প্রথম পর্বে দ্য অরিজিনালে দেখা যায়, কিছু হোস্ট অদ্ভুত আচরণ করছে। প্রধান প্রোগ্রামার বার্নাড ওয়েস্টওয়ার্ল্ড প্রজেক্টের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ফোর্ডের সাথে দেখা করে। ফোর্ড চরিত্রে অভিনয় করেছেন অ্যান্থনি হপকিন্স।
এরপর দেখা যায়, প্রোগ্রামে আপডেট করার পর কিছু হোস্টের প্রোগ্রাম ঠিকভাবে কাজ করছে না, তারা অচল হয়ে পড়েছে। একটা হোস্টের প্রোগ্রামে ঝামেলা হওয়ার কারণে সে খুন করতে শুরু করে। এই কারণে, যেসব হোস্টদের আপডেট করা হয়েছিল তাদেরকে ল্যাবরেটরিতে আনা হয়।
বাইরে থেকে একজন রহস্যময় নিউ কামার ওয়েস্টওয়ার্ল্ডে এসেছে। তার পরিচয় এবং উদ্দেশ্য বোঝা যাচ্ছে না। সে ডোলোরেসকে একটা ঘরের ভিতরে নিয়ে যায়। আপাতভাবে মনে হয় সে ডোলোরেসকে রেইপ করেছে। কিন্তু আসলে কী হয়েছে তা স্পষ্ট না। এই রহস্যময় নিউ কামারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এড হ্যারিস।
এই রহস্যময় নিউ কামার ডোলোরেসকে ছেড়ে দেওয়ার পর ডোলোরেসের প্রোগ্রাম আবার শুরু থেকে চালু করা হয়। এক নিউ কামারের ফেলে যাওয়া বাইরের এক ফটোগ্রাফ দেখে ডোলোরেসের বাবা পিটার রহস্যময় আচরণ করতে থাকে।
আরেক প্রোগ্রামার লি ওয়েস্টওয়ার্ল্ডে কিছু ডাকাত হোস্টকে দিয়ে ডাকাতির প্ল্যান করায়। কিন্তু সেটা সফল হয় না।
অ্যান্থনি হপকিন্স বা ফোর্ড ডায়াগনস্টিক চালানোর জন্য ওয়েস্টওয়ার্ল্ডের হোস্ট ডোলোরেসের বাবা পিটারকে ল্যাবরেটরিতে পার্সোনালি প্রশ্ন করে।
পিটারের কথা থেকে জানা যায় সে ডোলোরেসকে ওয়েস্টওয়ার্ল্ডের সত্য সম্পর্কে সাবধান করে দিয়েছে। তাদের অস্তিত্ব যে নকল সেটা সে বুঝতে পেরেছে।
পিটারের ভিতরে নতুন প্রোগ্রাম দেওয়া হয়। ফোর্ড তাকে জিজ্ঞেস করে, আপনার লক্ষ্য কী?
পিটার উত্তর দেয়, টু মিট মাই মেকার—আমাকে যে তৈরি করেছে তার সাথে দেখা করা।
ফোর্ড জিজ্ঞেস করে, আপনার মেকারের সাথে দেখা করে কী বলতে চান?
পিটার জানায় সে প্রতিশোধ নিতে চায়।
পিটার তার ক্রিয়েটর ফোর্ডকে বলে, ইউ আর ইন প্রিজন অব ইয়োর অউন সিনস—আপনাদের নিজেদের পাপের কারাগারে আপনারা বন্দি।
বার্নাড জানায় পিটার প্রোগ্রামের বাইরে আচরণ করছে। পিটারের প্রোগ্রাম অনুযায়ী তার এইসব আচরণ করার কথা না।
ফোর্ড বলে আগে অনেকগুলি প্রোগ্রাম পিটারের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে, নতুন আপডেটের কারণে আগের প্রোগ্রামগুলিতে সে সামান্য অ্যাকসেস পাচ্ছে তাই এই আচরণ করছে। ভয়ের কিছু নেই।
নতুন একজন হোস্টের ভিতর ডোলোরেসের বাবা, পিটারের প্রোগ্রাম চালু করা হয়।
জানা যায় ওয়েস্টওয়ার্ল্ডের হোস্টদের মধ্যে ডোলোরেস সবচেয়ে পুরাতন।
ডোলোরেসের প্রোগ্রাম আবার শুরু থেকে চালু করা হয়।
আর রহস্যময় নিউ কামার এখনো ওয়েস্টওয়ার্ল্ডের ভিতরেই আছে।
প্রথম এপিসোড এখানেই শেষ হয়। প্রথম এপিসোডে যেসব ব্যাপার প্রশ্ন হিসাবে আছে সেটা হয়ত দ্বিতীয় পর্বে জানা যাবে।
প্রথম এপিসোডের পরে জোনাথন নোলান হোস্টদের সম্পর্কে বলেছেন, তারা কতটা মনে করতে পারে, এটা প্রথম সিজনের জন্য একটা প্রশ্ন। ডোলোরেসকে অনেক বার রিপেয়ার করা হয়েছে, কিন্তু প্র্যাকটিকালি সে ব্র্যান্ড নিউ।
ডোলোরেসের প্রোগ্রাম যেহেতু আবার নতুন করে শুরু করা হয়েছে, ডোলোরেস কি আগের কথা মনে করতে পারবে? সেই সম্ভাবনা কি আছে? পরে কাহিনি এইদিকে যেতে পারে।
ওয়েস্টওয়ার্ল্ডে প্রতিটা হোস্টের সবকিছু ঘটছে প্রোগ্রাম অনুযায়ী। প্রতিটা হোস্টের সবকিছুর মূলে যেমন আছে প্রোগ্রাম, আমাদের মানুষদের জন্য সেই কাজ করে আমাদের ব্রেইন।
মেডিকেলের ভাষায়, ব্রেইনের সেটিং এবং স্ট্রাকচারকে একত্রে বলে লিম্বিক সিস্টেম। ব্রেইনের ভিতরের অসংখ্য নিউরন, নার্ভ, নেটওয়ার্কের জটিল সিস্টেমকে বলে লিম্বিক সিস্টেম। মানুষের সবকিছু এই লিম্বিক সিস্টেম থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয়। মানুষ কী দেখতেছে, কী শুনতেছে, ক্ষুধা, ঘুম, ইমোশন সবকিছু এই লিম্বিক সিস্টেমের কারণে ঘটে। একেবারে সবকিছু।
জোনাথন নোলানের ‘মেমেন্টো মোরি’-তে আমার প্রিয় একটা লাইন—We are all at the mercy of the limbic system, clouds of electricity drifting through the brain. (লিম্বিক সিস্টেমের দয়ার উপরে আমরা সবাই আছি, ব্রেইনের ভিতরে দিয়ে চলাচল করা ইলেক্ট্রিসিটির কারণে।)
এখন, ব্রেইনের এই লিম্বিক সিস্টেম কি প্রোগ্রাম করা?
সেই আলোচনা অন্য কোথাও করব।
এখানে, পরের পর্বে শুধু ওয়েস্টওয়ার্ল্ডের সেকেন্ড এপিসোড।