শীতকাল জলপাইয়ের সময়। জলপাইয়ের স্বাদের জন্য অনেকেই এটা খুব পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি জানেন কি জলপাইয়ের অসংখ্য স্বাস্থ্যগত উপকারিতা আছে—
১.
জলপাই রক্তের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল দূর করে।
২.
জলপাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
৩.
জলপাইয়ে প্রচুর আঁশ বা ফাইবার রয়েছে, ফলে এটা সবজি ও ফল দুটারই কাজ করে।
৪.
জলপাইতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে।
৫.
জলপাই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কোষের সুরক্ষার কাজ করে।
৬.
ধীরে ধীরে বাড়ে এবং জটিল আকার ধারণ করে এমন রোগের প্রভাব কমায় জলপাই। যেমন আলঝেইমার বা স্মৃতিভ্রম, জটিল ধরনের টিউমার, রগ কিছুটা ফুলে যাওয়া, দাঁতের ক্যাভিটি ইত্যাদি রোগের প্রভাব কমিয়ে আনে জলপাই।
৭.
রক্ত বেশি জমাট বাঁধা থেকে অনেক সময় মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন অথবা রক্তনালীর ভিতরে রক্তের ঘনত্ব মারাত্মকভাবে বেড়ে যেতে পারে। এই ধরনের রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করে জলপাই।
৮.
জলপাই ক্যান্সার বিস্তারের বিরুদ্ধে কোষের মেমব্রেনকে রক্ষা করে।
৯.
রক্তশূন্যতা বা অ্যানেমিয়ার একটি বড় প্রতিকারের নাম জলপাই।
১০.
জলপাই উর্বরতা বাড়ায় এবং প্রজনন প্রক্রিয়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
১১.
ভাইরাল অসুখ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিপরীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে জলপাই।
১২.
জলপাই যৌন উদ্দীপনা বাড়ায়।
১৩.
জলপাইতে প্রচুর পুষ্টিকর ও খনিজ উপাদান আছে। যেমন, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস এবং আয়োডিন।
১৪.
জলপাই শরীরে দরকারি ভিটামিন ও অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করে।
১৫.
জলপাইতে অলেইক এসিড রয়েছে, আর এই অলেইক এসিড হার্টের সুরক্ষার কাজ করে।
১৬.
জলপাইতে পলিফেনল থাকে। পলিফেনল হলো এক ধরনের প্রাকৃতিক কেমিক্যাল, এটা মস্তিষ্কে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। প্রতিদিন নিয়মিত জলপাই খেলে আপনার স্মৃতিশক্তি শতকরা ২৫ ভাগ বাড়ার কথা।
১৭.
এক কাপ জলপাইতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে—৪.৪ মিলিগ্রাম।
১৮.
জলপাইতে অলেইক এসিড আছে। এই অলেইক এসিড ত্বককে রাখে নরম, মসৃণ ও স্বাস্থ্যকর। তাই নিয়মিত জলপাই খেলে ত্বকের বলিরেখা ২০ শতাংশ কমে যাবে।
১৯.
প্রতিদিন খাওয়ার আগে ১০ টি জলপাই খেলে আপনার ক্ষুধা ২০ শতাংশ কমে যাবে। এর কারণ হলো জলপাইতে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড হজম প্রক্রিয়া ধীরগতির করে দেয় এবং কোলেসাইটোকিনিন নামক হরমোন নিঃসরণ ঘটায়। এই হরমোন মস্তিষ্কে ক্ষুধা নিবৃত্তি বা সম্পূর্ণ হওয়ার মেসেজ পাঠায়।
২০.
শুধু তাই নয়, জলপাই আপনার শরীরে আডিপোনেকটিন নামক রাসায়নিক পদার্থ উৎপন্ন হওয়ার পরিমাণ বাড়ায়। এই রাসায়নিক পদার্থটি খাওয়ার পাঁচ ঘণ্টা পর পর্যন্ত ফ্যাট বার্ন করে বা মেদ ঝরায়।