১. কিউয়ি ফল (Kiwi) মূলত চীনে উৎপাদিত হয়। শুরুতে এই ফলকে মানুষ “ইয়াং তাও” (Yang Tao) নামে চিনত।

২. কিউয়ি পাখির মতই এই ফলের গায়েও বাদামী রঙের লোমশ বহিরাবরণ আছে। এ কারণেই নিউজিল্যান্ডে ফলটির নাম “কিউয়ি” রাখা হয়।

৩. নাম পরিবর্তন হওয়ার আগ পর্যন্ত এই ফলটিকে মানুষ “চাইনিজ গুজবেরি” হিসেবে চিনত।

৪. ডায়েটারি ফাইবার এর অসাধারণ উৎস এটি। যা মানুষের শরীরে খাদ্য হজমের জন্য প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে ফলটি খোসা সহ খেলে উপকারিতা আরো বেশি পাওয়া যায়।

৫. কিউয়ি ফলে অন্যান্য বেশিরভাগ ফলের চেয়ে বেশি ভিটামিন সি থাকে (মাল্টার চেয়ে প্রায় তিনগুণ ভিটামিন সি)। (রিচার্ডসন, ২০১৮)

আরো পড়ুন: আপনার খাবারে কার্বোহাইড্রেট বা কার্বস কেন দরকার

৬. অ্যাকটিনিডিয়া (Actinidia) গোত্রে ৫০টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে, যার মধ্যে কিউয়ি ফলও অন্তর্ভুক্ত। সবুজ কিউয়ি ফল (অ্যাকটিনিডিয়া ডেলিশিওসা) এবং গোল্ডেন কিউয়ি ফল (অ্যাকটিনিডিয়া চিনেনসিস) ছাড়াও, বিভিন্ন অঞ্চলে লাল কিউয়ি ও বেবি কিউয়ির মতো নতুন জাত উন্নয়ন এবং চাষ করা হয়।

কিউয়ি
স্মুদি, ফ্রুট সালাদ, স্যান্ডউইচ বা এমনি—নানাভাবে খাওয়া যায় কিউয়ি

৭. কিউয়ি ফল গাছ থেকে ছেঁড়ার পরও পাকতে থাকে। যার কারণে বাজারে প্রায় সময়ই কিউয়ি কিছুটা কাঁচা অবস্থায় বিক্রি করা হয়।

৮. অন্যান্য ফল কাটার পরে বাদামী হয়ে যায়, কিন্তু কিউয়ি ফলে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি ও কম ট্যানিন থাকার কারণে এই ফল কাটার পরে বাদামী হয় না বলে মনে করা হয়।

৯. কিউয়ি ফলে সেরোটোনিন (Serotonin) নামক একটি উপাদান রয়েছে। এই উপাদান ঘুমের প্যাটার্ন নিয়ন্ত্রণ করে এবং ঘুম যাতে ভালো হয় সে ব্যাপারে সাহায্য করে।

১০. কিউয়ি ফল এনভায়রনমেন্টাল ওয়ার্কিং গ্রুপের “ক্লিন ফিফটিন” তালিকায় রয়েছে। এর দ্বারা বোঝা যায়, কিউয়ি ফল কীটনাশক-দূষিত ফলগুলির তালিকার বাইরে অবস্থান করছে।

১১.  কিউয়ি ফল উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে চীন, ইতালি এবং নিউজিল্যান্ড।

লেখক. যাইয়ার আজান