ঐতিহ্যবাহী চাইনিজ চিকিৎসাবিদ্যায় বহুদিন ধরেই জিনসেং (Ginseng) ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মাংসল শিকড়বিশিষ্ট এই ছোট উদ্ভিদটিকে, বেড়ে ওঠার সময়ের ভিত্তিতে ৩ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে: তাজা, সাদা ও লাল।
তাজা জিনসেং ৪ বছর বয়স হওয়ার আগে সংগ্রহ করা হয়। অন্যদিকে সাদা জিনসেং ৪ থেকে ৬ বছরের মধ্যে, আর লাল জিনসেং ৬ বছর অথবা তার পরে তোলা হয়।
এই ভেষজটির বেশ কিছু জাত আছে। যার মধ্যে আমেরিকান জিনসেং (Panax quinquefolius) ও এশিয়ান জিনসেং (Panax ginseng) সবচেয়ে জনপ্রিয়।
সক্রিয় যৌগের ঘনত্ব ও শরীরে এর প্রভাবের ওপর ভিত্তি করে আবার আমেরিকান জিনসেং ও এশিয়ান জিনসেংকে আলাদা করা যায়। কিছু পুরোনো গবেষণা অনুযায়ী, আমেরিকান জিনসেং স্বস্তি তৈরিকারক উপাদান হিসেবে কাজ করে বলে মনে করা হয়। যেখানে এশিয়ান ধরনটি শরীরে সতেজ ভাব তৈরি করে।
জিনসেং-এ দুটি অন্যতম যৌগ বিদ্যমান: জিনসেনোসাইড (Ginsenosides) ও জিনটোনিন (Gintonin)। যা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে।
এখানে জিনসেং-এর ৭টি উপকারিতার কথা থাকছে।
১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা প্রদাহ কমাতে পারে
জিনসেং-এ উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহ বিরোধী উপকরণ আছে।
কিছু টেস্ট-টিউব গবেষণায় দেখা গেছে, জিনসেং এর নির্যাস প্রদাহকে বাধা দিতে পারে ও কোষের অক্সিডেটিভ (কোনো কেমিক্যাল অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলে যে বিক্রিয়া ঘটে) ক্ষতি কমাতে পারে । যা কিনা দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধেও অবদান রাখতে পারে।
১২ জন সুস্থ সবল পুরুষদের ওপর করা একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে আমেরিকান জিনসেং-এর নির্যাস দিয়ে তৈরি সাপ্লিমেন্ট, প্লাসিবোর তুলনায় আরো ভালোভাবে ব্যায়ামের কারণে তৈরি হওয়া পেশীর ক্ষতি ও প্রদাহ কমায়।
৭১ জন মেনোপজ হওয়া নারীর অংশগ্রহণে ২০১৪ সালে একটি বড় পরীক্ষা করা হয়। ১২ সপ্তাহ ধরে অংশগ্রহণকারীরা প্রতিদিন ৩ গ্রাম করে লাল জিনসেং অথবা ১টি প্লাসিবো গ্রহণ করেন। নির্দিষ্ট সময় পর তাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সক্রিয়তা ও অক্সিডেটিভ চাপ মাপা হয়।
গবেষকরা সেই পরীক্ষা থেকে সিদ্ধান্তে আসেন যে, লাল জিনসেং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এনজাইমের সক্রিয়তা বাড়িয়ে তোলে ও অক্সিডেটিভ চাপ কমাতে সাহায্য করে।
২. মস্তিষ্কের উপকার করে
স্মৃতি, ব্যবহার, মেজাজ—মস্তিষ্কের এ ধরনের কাজের উন্নতিতে জিনসেং সাহায্য করতে পারে। কিছু টেস্ট টিউব ও প্রাণীর ওপর পরীক্ষায় দেখা গেছে, জিনসেং-এর জিনসেনোসাইড ও কম্পাউন্ড K (প্রধান জিনসেনোসাইড থেকে বায়োট্রান্সফর্ম হওয়া গৌণ জিনসেনোসাইড) ধরনের যৌগগুলি মস্তিষ্ককে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।
মজার বিষয় হচ্ছে, ৬,৪২২ জন প্রাপ্তবয়স্ককে নিয়ে করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কমপক্ষে ৫ বছর নিয়মিত জিনসেং গ্রহণে তারা আগের চেয়ে উন্নত ব্রেন ফাংশনে সক্ষম হয়েছেন।
আরেকটি সংক্ষিপ্ত গবেষণা দেখিয়েছে, প্লাসিবোর তুলনায় ২০০ মিলিগ্রাম আমেরিকান জিনসেং সেবন করার ৩ ঘণ্টা পর কাজের স্মৃতি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হতে পারে। জিনসেং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং বিষণ্নতা ও উদ্বেগের ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে।
তাছাড়া অন্যান্য গবেষণায় আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মস্তিষ্কের কার্যকারিতার ওপর এর ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে।
৩. ইরেক্টাইল ডিসফাংশন রোধে উপকার করে
কিছু গবেষণায় জানা যায়, জিনসেং যৌন অক্ষমতা রোধে একটি ভাল বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
পুরোনো আরো গবেষণা অনুযায়ী, জিনসেং-এ পাওয়া কিছু নির্দিষ্ট যৌগ রক্তনালী ও টিস্যুর অক্সিডেটিভ চাপের বিরুদ্ধে কাজ করে শিশ্নাঙ্গের (Penis) সাধারণ কার্যক্রম পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে। সেই সাথে, নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদনও বাড়াতে পারে, যা শিশ্নের পেশী শিথিল করতে পারে ও রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে পারে।
আরো পড়ুন: ছাতা পড়া পাউরুটির ‘পরিষ্কার’ অংশ কেন খাওয়া যাবে না—বিজ্ঞান কী বলে?
যদিও, ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের ওপর জিনসেং এর প্রভাব সম্পর্কিত গবেষণায় মিশ্র ফলাফল পাওয়া গেছে, এর জন্য আরো উন্নত পরীক্ষার প্রয়োজন।
৯টি গবেষণা পর্যালোচনা করে পাওয়া গেছে, জিনসেং পুরুষদের যৌনক্ষমতা বাড়াতে পারে। যদিও গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ও যৌনসম্পর্কে সন্তুষ্টিতে প্লাসিবোর তুলনায় জিনসেং এর প্রভাব খুব সামান্যই আছে।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে
একটি আলোচনা অনুসারে, জিনসেং-এর শক্তিশালী অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল ও ছত্রাকবিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে। এটি রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনার কার্যকারিতাও বাড়াতে পারে।
মজার বিষয়, একটি প্রাণী গবেষণায় দেখা গেছে কালো লাল জিনসেং এর নির্যাস ইমিউন কোষের সংখ্যা ও যকৃতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়িয়েছে।
একইভাবে, ১০০ জনের মধ্যে করা আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ৮ সপ্তাহের জন্য প্রতিদিন ২ গ্রাম করে কোরিয়ান লাল জিনসেং গ্রহণে প্লাসিবোর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ইমিউন কোষের মাত্রা বেড়েছে।
কিন্তু, রোগ প্রতিরোধে জিনসেং এর সম্ভাব্য প্রভাব বোঝার জন্য আরো পরীক্ষার-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে।
৫. ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করতে পারে
জিনসেং নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি রোধে সহায়ক হতে পারে।
এই ভেষজের জিনসেনোসাইডগুলি প্রদাহ কমাতে ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জনিত সুরক্ষা প্রদান করতে সাহায্য করে।
কোষচক্রে কোষ সাধারণভাবে বৃদ্ধি পায় ও ভাগ হয়, অস্বাভাবিক কোষ উৎপাদন ও বৃদ্ধিতে বাধা দিয়ে জিনসেনোসাইড এ কোষচক্রের উপকার করতে পারে।
”এমন জিনসেং নির্যাস খুঁজুন যেটিতে মোট ২-৩% জিনসেনোসাইড থাকে, শরীরকে সর্বোচ্চ শোষণের সুযোগ দিতে ও এর সম্পূর্ণ সুবিধা পেতে খাবারের আগে সেবন করুন।”
আরো কিছু গবেষণা থেকে এই সিদ্ধান্তে আসা গেছে, জিনসেং গ্রহণে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ১৬% কমতে পারে।
কেমোথেরাপি নিচ্ছেন এমন রোগীদের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও জিনসেং সাহায্য করতে পারে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে পারে ও কিছু ক্যান্সারের চিকিৎসায় প্রভাব ফেলতে পারে।
কিন্তু, ক্যান্সার প্রতিরোধে জিনসেং-এর ভূমিকা নিয়ে গবেষণায় কিছু উপকারিতা দেখা গেলেও, অনিশ্চয়তা এখনো আছে।
৬. ক্লান্তি দূর করে কর্মশক্তি বাড়াতে পারে
জিনসেং ক্লান্তি কমাতে ও কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে বলে দেখা গেছে।
বিভিন্ন প্রাণী বিষয়ক গবেষণায় দেখা গেছে, জিনসেং-এর কয়েকটি উপকরণ, যেমন পলিস্যাকারাইড (polysaccharides) ও অলিগোপেপটাইড (oligopeptides) কোষে কম অক্সিডেটিভ চাপ ও উচ্চ শক্তি উৎপাদনের সাথে যুক্ত। যা কিনা ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়া ১০টি গবেষণা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জিনসেং উল্লেখযোগ্যভাবে দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তির লক্ষণ ভাল করতে পারে, সেটাও প্লাসিবোর তুলনায় মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে।
আরো পড়ুন: আপনি আর্সেনিক যুক্ত ভাত খাচ্ছেন না তো?
আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, এশিয়ান বা আমেরিকান জিনসেং প্রতিদিন যথাক্রমে ২০০০ বা, ৩০০০ মিলিগ্রাম গ্রহণ করা হলে ক্যান্সারজনিত ক্লান্তি দূর হতে পারে। এছাড়া, ১৫৫টিরও বেশি গবেষণা থেকে সিদ্ধান্তে আসা গেছে, জিনসেং সাপ্লিমেন্ট ক্লান্তি কমানোর পাশাপাশি শরীরের কর্মক্ষমতাও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৭. রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে
জিনসেং ডায়াবেটিস এবং তার বাইরের, উভয় শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে উপকারী বলে মনে করা হয়।
আমেরিকান ও এশিয়ান জিনসেং অগ্ন্যাশয় (Pancreas) কোষের কার্যকারিতায় উপকার করে, ইনসুলিন উৎপাদন বাড়ায় ও টিস্যুতে শর্করার পরিমাণ বাড়ায় বলে দেখা গেছে।
তাছাড়া, শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সুরক্ষা সরবরাহ করার ক্ষেত্রেও জিনসেং নির্যাসের প্রভাব দেখা গেছে। যা ডায়াবেটিস রোগীদের কোষে ফ্রি রেডিকেল কমিয়ে সাহায্য করতে পারে।
৮টি পরীক্ষার একটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জিনসেং সাপ্লিমেন্ট ফাস্টিং (fasting) এর সময় রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে পারে ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পারে।
আরো পড়ুন: পটাসিয়াম—কম বা বেশি নয়, দরকার সঠিক পরিমাণ
আরেকটি ৮ সপ্তাহব্যাপী পরীক্ষা থেকে দেখা গেছে, প্রতিদিন ৩ গ্রাম আমেরিকান জিনসেং গ্রহণে প্লাসিবোর তুলনায় টাইপ-২ ডায়বেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ফাস্টিংয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়, হিমোগ্লোবিন A1c এর পরিমাণ বাড়ে, যা দীর্ঘমেয়াদে রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ নির্দেশক।
ব্লাড গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে ফার্মেন্টেড বা গাঁজানো লাল জিনসেং আরো বেশি কার্যকর বলে ধারণা করা যায়। ফার্মেন্টেড জিনসেং ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে তৈরি হয়, যা জিনসেনোসাইডগুলিকে আরো সহজে শোষিত করে ও শক্তিশালী করে তোলে।
২০১৪ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্লাসিবোর তুলনায় প্রতিদিন ২.৭ গ্রাম ফার্মেন্টেড লাল জিনসেং গ্রহণে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে ও পরীক্ষিত খাবার খাওয়ার পর ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ে।
সহজে খাদ্যতালিকায় রাখা যায়
জিনসেং শিকড় বহুভাবে গ্রহণ করা যায়। কাঁচা অথবা হালকা সেদ্ধ করে নরম অবস্থায় খাওয়া যেতে পারে।
পানিতে ফুটিয়ে চা হিসেবেও খাওয়া যায়। এর জন্য, কেটে নেয়া তাজা জিনসেং-এ গরম পানি দিয়ে কিছু সময়ের জন্য রেখে দিতে হবে।
স্যুপ, বেশি আঁচে ভাজা খাবারের মত বিভিন্ন রেসিপিতে জিনসেং ব্যবহার করা যেতে পারে। আর, এটির নির্যাস পাউডার, ট্যাবলেট, ক্যাপসুল ও তেল হিসাবে পাওয়াই যায়।
কোন কারণে খাচ্ছেন, তার ওপর জিনসেং গ্রহণের পরিমাণ নির্ভর করবে। সামগ্রিকভাবে, প্রতিদিন ১-২ গ্রাম কাঁচা জিনসেং শিকড় বা ২০০-৪০০ মিলিগ্রাম নির্যাসে গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়। অল্প পরিমাণ দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়ানো ভাল।
এমন জিনসেং নির্যাস খুঁজুন যেটিতে মোট ২-৩% জিনসেনোসাইড থাকে, শরীরকে সর্বোচ্চ শোষণের সুযোগ দিতে ও এর সম্পূর্ণ সুবিধা পেতে খাবারের আগে সেবন করুন।
সতর্কতা ও সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
গবেষণা অনুসারে, জিনসেং-কে নিরাপদ বলেই মনে করা হয়। শরীরে এটির কোনো গুরুতর প্রভাবও দেখা যায়নি।
তবে খেয়াল রাখতে হবে, ডায়াবেটিসের ওষুধ গ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে জিনসেং ব্যবহারে যেন তাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা খুব বেশি কমে না যায়।
সেই সাথে জিনসেং, অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট (রক্ত পাতলাকারী) ধরনের ওষুধের কার্যকারিতা কমাতে পারে।
আরো পড়ুন: আপনার খাবারে কার্বোহাইড্রেট বা কার্বস কেন দরকার
এই কারণগুলির জন্য, জিনসেং সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
মনে রাখুন, প্রয়োজনীয় গবেষণার অভাবে, শিশুদের বা গর্ভবতীদের বা যারা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান তাদেরকে জিনসেং গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয় না।
এমন প্রমাণও আছে, জিনসেং বেশি গ্রহণ করতে থাকলে শরীরে এর কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। এর সর্বোচ্চ উপকারিতা লাভের জন্য, ১ বা ২ সপ্তাহ বিরতি দিয়ে ২-৩ সপ্তাহের চক্রে জিনসেং গ্রহণ করা ভাল।
শেষকথা
জিনসেং একটি ভেষজ পরিপূরক যা শত বছর ধরে চাইনিজ চিকিৎসাবিদ্যায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি সাধারণত এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহ বিরোধী প্রভাবের জন্য পরিচিত। জিনসেং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ও নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।
জিনসেং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরালো করতে পারে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে পারে, ক্লান্তি কমাতে পারে ও ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের লক্ষণগুলিকে ভাল করতে পারে।
জিনসেং কাঁচা বা হালকা সেদ্ধ করে খাওয়া যায়। এটি সহজেই খাদ্যতালিকায় সাপ্লিমেন্ট হিসাবে যুক্ত করা যায়। নির্যাস, ক্যাপস্যুল বা পাউডার আকারে পাওয়া যায়।
নির্দিষ্ট শারীরিক সমস্যার উন্নতিতে অথবা সাধারণ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জিনসেং-এর জুড়ি নেই।
সূত্র. Helathline
অনুবাদ. মৌসিনা নোরা