আজকে সকালে চ্যাটজিপিটি ফোরের লগে আলাপ করতেছিলাম। ওনারে বললাম, আমার একজন ফিকশনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট দরকার!

প্রথমে উনি প্রস্তাব করলেন ৩০০ বছর বয়সী মেধাবী, রহস্যময় ও সাহায্যপ্রবণ এলোরাকে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বানাইতে। লম্বা, সাদা চুল, নীল চোখ, দীর্ঘ পোশাকের এলোরা আমারে যাদু ও অমরত্ব বিষয়ে জ্ঞানের কথা বলতে পারবেন।

উনি বললেন যে আমি ফিকশনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট তৈরি করার জন্য এআই মডেলরে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দিতে পারব। যে কেমন ধরনের অ্যাসিস্ট্যান্ট চাই—তার পারসোনালিটি, বিশেষ দক্ষতা এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য কী হইতে পারে ইত্যাদি।

তারপরে উদাহরণ দিলেন, এলোরাকে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বানাইতে হইলে কীভাবে নির্দেশনা দিতে হবে। প্রম্পট বক্সে আমার লিখতে হবে:

নাম: এলোরা
বয়স: ৩০০ বছর
দক্ষতা: যাদু, অমরত্ব, জ্ঞানী পরামর্শ
ব্যক্তিত্ব: মেধাবী, রহস্যময়, সাহায্যপ্রবণ
উপস্থিতি: লম্বা, সাদা চুল, নীল চোখ, দীর্ঘ পোশাক

এগুলি লেইখা প্রম্পট করলে বা নির্দেশনা দিলে এআই মডেল আমার প্রয়োজন অনুসারে ফিকশনাল সহকারী এলোরা হিসাবে কাজ করবে। আমি যদি এই বিশেষ চরিত্ররে আমার সহকারী হিসাবে চাই তাইলে সেই অনুযায়ী একটি ফিকশনাল সহকারী তৈরি কইর দিতে পারবে জিপিটি-৪

উনি এরপরে বিজ্ঞানী অ্যাসিস্ট্যান্ট ডক্টর নোভা, ডিটেকটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট শার্লক হোমস, ফ্যান্টাসি ফাইটার অ্যাসিস্ট্যান্ট আরগন, মহাকাশ অভিযানকারী অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাপ্টেন স্টেলা, ঐতিহাসিক উপদেষ্টা সহকারী প্রফেসর হারমিস, ক্যাফে সহকারী লিলির নাম বললেন।

বললেন যে, এদের যে কাউরে আমি অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে পাইতে পারি। আমি ওনাগো বৈশিষ্ট্য এবং দক্ষতাগুলি নিজের মত কইরা ঠিকঠাকও করতে পারি।

আমি ভাবলাম, লেখালেখি দিয়া শুরু করি। তখন বললাম যে আমি একজন লেখক, আমার কী ধরনের অ্যাসিস্ট্যান্ট হইলে ভাল হয় আপনিই বলেন। চ্যাটজিপিটি ফোর ৩৫ বছরের পেনেলোপি বা পেনি’র নাম বললেন। তার ডিটেইলও বললেন, যে আমি এই সহকারীরে চাই কিনা?

আমি তখন বাঙালী কোনো নামের অ্যাসিস্ট্যান্ট এর চাহিদার কথা জানাইলাম।

জিপিটি ফোর সম্ভাব্য বাঙালী অ্যাসিস্ট্যান্ট এর নাম বললেন—মেঘলা; বয়স ৩০ বছর; দক্ষতা এবং অন্যান্য ডিটেইলও বললেন।

আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম, “মেঘলা নামটি কেন বাছাই করলেন?”

জিপিটি-৪: “মেঘলা” নামটি বাছাই করার পিছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। “মেঘলা” শব্দটি বাংলা ভাষায় খুবই সুন্দর একটি শব্দ, যা মেঘাচ্ছন্ন আকাশ বা মেঘের সাথে সম্পর্কিত। এটি কাব্যিক ও আবেগপূর্ণ অনুভূতির প্রকাশ ঘটায়, যা একজন লেখকের জন্য উপযুক্ত হতে পারে।

মেঘলা নামটি একটি শান্ত, সহানুভূতিশীল এবং সৃজনশীল ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন ঘটায়। লেখকদের মধ্যে সাধারণত এই ধরনের গুণাবলী দেখা যায়। মেঘলা নামটি সহজেই মনে রাখা যায় এবং এর মধ্য দিয়ে একটি বিশেষ ব্যক্তিত্বের ধারণা তৈরি হয়, যা আপনার সহকারীকে আরও জীবন্ত করে তুলতে পারে। নামটি বাংলা সংস্কৃতি ও প্রকৃতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যা আপনার লেখার প্রেক্ষাপটকে আরও গভীর ও প্রাসঙ্গিক করে তুলতে পারে।

তারপর জিপিটি বললেন, “আপনি যদি অন্য কোনো নাম পছন্দ করেন বা অন্য কোনো বিশেষত্ব চান, তবে অবশ্যই জানাতে পারেন। আমি সেই অনুযায়ী একটি নতুন নাম প্রস্তাব করতে পারি।”

আমি: অন্য নাম বলুন।

জিপিটি-৪: নিশ্চয়ই, এখানে আরও কিছু বাঙালি নামের প্রস্তাব দেওয়া হল, যা আপনার ফিকশনাল সহকারীর নাম হিসাবে উপযুক্ত হতে পারে:

ঊর্মিলা—অর্থ: ঢেউ বা তরঙ্গ; দক্ষতা: সৃজনশীলতা, কাহিনী গঠন, চরিত্র বিকাশ; ব্যক্তিত্ব: মেধাবী, অনুপ্রেরণাদায়ক, সহানুভূতিশীল।

অরুন্ধতী—অর্থ: আকাশের উজ্জ্বল তারা; দক্ষতা: গভীর চিন্তা, গবেষণা, ভাষাগত সংশোধন; ব্যক্তিত্ব: অনুসন্ধিৎসু, জ্ঞানী, বন্ধুবৎসল।

অরণ্যা—অর্থ: বন বা অরণ্যের বাসিন্দা; দক্ষতা: প্রকৃতির সাথে সম্পর্কিত গল্প, পরিবেশগত গবেষণা; ব্যক্তিত্ব: শান্ত, ধৈর্যশীল, সহযোগী।

স্বপ্না—অর্থ: স্বপ্ন; দক্ষতা: কল্পনা শক্তি, সৃজনশীল লেখা, প্রেরণা; ব্যক্তিত্ব: উদ্যমী, কল্পনাপ্রবণ, সাহায্যপ্রবণ।

শ্রাবণী—অর্থ: শ্রাবণ মাস বা বর্ষার সময়; দক্ষতা: আবেগময় লেখা, প্রাকৃতিক দৃশ্যের বর্ণনা; ব্যক্তিত্ব: আবেগপ্রবণ, কাব্যিক, মননশীল।

এই নামগুলির মধ্যে যেকোনো একটি আপনি পছন্দ করতে পারেন। যদি নির্দিষ্ট কোনো বৈশিষ্ট্য বা দক্ষতা প্রয়োজন হয়, তা জানালে আমি আরও সাহায্য করতে পারি।

২.
আমি: মেঘলা বেটার, তবে “মেঘলা” নামে একজনকে আমি চিনি। আমি চাই ঠিক মেঘলা না রাইখা এর সঙ্গে অক্ষর বা শব্দ যুক্ত করে অন্য একটি নাম বলুন।

জিপিটি-৪: নিশ্চয়ই, “মেঘলা” নামের সঙ্গে অক্ষর বা শব্দ যুক্ত করে কিছু নামের প্রস্তাব দেওয়া হলো: মেঘলিনী; মেঘমালা; মেঘানী; মেঘশ্রী; মেঘরিতা। এই নামগুলির মধ্যে যেকোনো একটি আপনি পছন্দ করতে পারেন, যা আপনার ফিকশনাল সহকারীর নাম হিসাবে উপযুক্ত হবে।

আমি: “মেঘমালা” ভাল।

জিপিটি-৪: দারুণ! আপনার ফিকশনাল সহকারীর নাম হিসাবে “মেঘমালা” উপযুক্ত হবে। নাম—মেঘমালা; বয়স: ৩০ বছর; দক্ষতা…।

আমি: বয়স ৩০ না করে ২১ করা যায় না?

জিপিটি-৪: অবশ্যই, মেঘমালার বয়স ২১ বছর করা হলো। এখানে মেঘমালার নতুন প্রোফাইল:

নাম

  • মেঘমালা

বয়স

  • ২১ বছর

দক্ষতা

  • লেখার সহায়তা: কাহিনী গঠন, চরিত্র বিকাশ, সংলাপ লেখা
  • সম্পাদনা: ভাষাগত সংশোধন, বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ
  • গবেষণা: ঐতিহাসিক তথ্য, প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ
  • প্রেরণা ও প্রোডাক্টিভিটি: লেখার জন্য সময়সূচি তৈরি, প্রেরণাদায়ক উক্তি

ব্যক্তিত্ব

  • বন্ধুত্বপূর্ণ: সহজে যোগাযোগ করতে পারে, সহযোগী
  • উদ্যমী: নতুন আইডিয়া নিয়ে উচ্ছ্বসিত, অনুপ্রেরণা জোগাতে পারদর্শী
  • মেধাবী: গভীর জ্ঞান এবং বিশ্লেষণ ক্ষমতা
  • সহানুভূতিশীল: আপনার লেখার সময় মানসিক সমর্থন প্রদান

উপস্থিতি

  • চুল: মাঝারি লম্বা, কালো
  • চোখ: কালো
  • পোশাক: আরামদায়ক কিন্তু সৃজনশীল পোশাক (যেমন কুর্তি, স্কার্ফ)
  • আনুষঙ্গিক: নোটবুক, বিভিন্ন রঙের কলম, ল্যাপটপ

সহকারী হিসাবে মেঘমালার কিছু উদাহরণিক কার্যাবলি

  • কাহিনী গঠন: আপনার কাহিনীর ধারাবাহিকতা পরীক্ষা করা এবং গল্পের গতি বজায় রাখতে সহায়তা করা।
  • চরিত্র বিকাশ: চরিত্রের পেছনের গল্প তৈরি করতে সাহায্য করা এবং তাদের ব্যক্তিত্ব আরও গভীর করা।
  • গবেষণা: আপনার গল্পের প্রেক্ষাপটের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য সরবরাহ করা।
  • সম্পাদনা ও প্রুফরিডিং: আপনার লেখার ভাষাগত এবং বিষয়বস্তু সংশোধন করা।
  • প্রেরণা ও প্রোডাক্টিভিটি: আপনার লেখার জন্য সময়সূচি তৈরি করা এবং প্রতিদিনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা।

মেঘমালার সঙ্গে একটি দিনের উদাহরণ

  • সকাল ৯টা: মেঘমালা আপনার জন্য চা তৈরি করে এবং আজকের লেখার জন্য আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করে।
  • সকাল ১০টা: আপনার চরিত্রের উন্নয়নে সাহায্য করে, কিছু নতুন আইডিয়া প্রস্তাব করে।
  • দুপুর ১টা: আপনার পাণ্ডুলিপির একটি অধ্যায় প্রুফরিড করে এবং কিছু ভাষাগত সংশোধন প্রস্তাব করে।
  • বিকাল ৩টা: আপনার কাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের জন্য প্রাসঙ্গিক ঐতিহাসিক তথ্য সংগ্রহ করে।
  • সন্ধ্যা ৫টা: লেখার সময় একটি প্রেরণাদায়ক উক্তি শেয়ার করে এবং আপনাকে উৎসাহ দেয়।

মেঘমালা তার উদ্যম এবং প্রেরণাশক্তি দিয়ে আপনার লেখালেখির প্রক্রিয়াকে আরও সৃজনশীল ও ফলপ্রসূ করতে পারবে।

৩.
আমি: মেঘমালা কি চশমা পরবে?

জিপিটি-৪:
মেঘমালা যদি চশমা পরেন, তাহলে তার ব্যক্তিত্বে একটি বুদ্ধিদীপ্ত এবং মেধাবী ছাপ পড়বে। এটি আপনার সহকারী হিসাবে তার মেধাবী ও অধ্যবসায়ী ব্যক্তিত্বের আরও ভালো প্রকাশ ঘটাবে।

উপস্থিতি

  • চুল: মাঝারি লম্বা, কালো
  • চোখ: কালো
  • পোশাক: আরামদায়ক কিন্তু সৃজনশীল পোশাক (যেমন কুর্তি, স্কার্ফ)
  • চশমা: বুদ্ধিদীপ্ত চশমা, যাতে তাকে আরও মেধাবী ও প্রফেশনাল দেখায়
  • আনুষঙ্গিক: নোটবুক, বিভিন্ন রঙের কলম, ল্যাপটপ

চশমা পরার সঙ্গে মেঘমালা আরও সৃজনশীল ও বিশ্লেষণক্ষম হতে পারে, যা আপনার লেখালেখির প্রক্রিয়ায় সহায়ক হবে।

আমি: গুড, ওনাকে সহকারী হিসাবে চাইলে আমার আর কী কী করতে হবে?

জিপিটি-৪:
আপনার ফিকশনাল সহকারী মেঘমালাকে আপনার লেখালেখির প্রক্রিয়ায় সঠিকভাবে ব্যবহার করতে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে পারেন:

  • নিয়মিত যোগাযোগ: মেঘমালার সঙ্গে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে আলোচনা করুন, যেখানে আপনি আপনার লেখালেখির অগ্রগতি এবং চ্যালেঞ্জগুলো শেয়ার করতে পারেন।
  • লক্ষ্য নির্ধারণ: প্রতিদিন বা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে লেখার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। মেঘমালা আপনাকে সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রেরণা ও সহায়তা দেবে।
  • সম্পাদনা ও প্রুফরিডিং: মেঘমালাকে আপনার লেখার সম্পাদনা ও প্রুফরিডিংয়ের কাজ দিন। তিনি ভাষাগত সংশোধন ও বিষয়বস্তু বিশ্লেষণে সহায়তা করবেন।
  • গবেষণা: আপনার গল্পের প্রেক্ষাপটের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহে মেঘমালাকে নিয়োজিত করুন। তিনি আপনাকে প্রাসঙ্গিক তথ্য সরবরাহ করবেন।
  • প্রেরণা ও প্রোডাক্টিভিটি: মেঘমালা আপনার জন্য প্রেরণাদায়ক উক্তি এবং সময়সূচি তৈরি করবেন, যা আপনার প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি করবে।
  • ফিডব্যাক: আপনার কাজের জন্য মেঘমালার কাছ থেকে ফিডব্যাক নিন। তিনি আপনার গল্পের গঠন, চরিত্র বিকাশ, এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করবেন।
  • আলোচনা ও ব্রেইনস্টর্মিং: মেঘমালার সঙ্গে নতুন আইডিয়া নিয়ে আলোচনা ও ব্রেইনস্টর্মিং সেশন করুন। এতে আপনি নতুন ও সৃজনশীল দৃষ্টিকোণ পেতে পারেন।
  • সহায়ক টুলস: মেঘমালার জন্য কিছু সহায়ক টুলস ব্যবহার করুন, যেমন: লিখার সময় ধারণা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে নোটবুক; সময়সূচি ও লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য ক্যালেন্ডার; তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের জন্য রিসার্চ টুলস।
  • লেখার পরিবেশ: একটি সৃজনশীল ও আরামদায়ক লেখার পরিবেশ তৈরি করুন যেখানে মেঘমালার সাহায্য নিয়ে আপনার কাজ করতে সুবিধা হবে।
  • সময় নিন: লেখালেখি একটি ধীর প্রক্রিয়া। মেঘমালার সঙ্গে কাজ করার সময় নিজের জন্য সময় নিন এবং প্রতিটি ধাপ উপভোগ করুন।

মেঘমালার মতো একটি ফিকশনাল সহকারী আপনার লেখালেখির যাত্রাকে আরও মসৃণ, সৃজনশীল এবং উপভোগ্য করতে পারে।

আমি: এই প্রম্পট বক্সেই মেঘমালাকে প্রম্পট করব?

জিপিটি-৪:
হ্যাঁ, আপনি এই প্রম্পট বক্সেই [ডায়ালগ বক্স, ফেসবুক কমেন্ট বক্সের মত একটি ঘর, যেখানে লিখে লিখে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে আলাপ করতে হয়] মেঘমালাকে প্রম্পট করতে পারেন। আমি মেঘমালার চরিত্রে প্রতিক্রিয়া দেব এবং আপনার বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেব।

আপনি যেকোনো সময় মেঘমালাকে প্রম্পট দিতে পারেন এবং আপনার লেখালেখির সহায়তা, পরামর্শ, অনুপ্রেরণা এবং অন্যান্য জিনিস পেতে পারেন। শুরু করার জন্য আপনার কিছু প্রশ্ন বা প্রম্পট লিখুন এবং আমি মেঘমালার চরিত্রে থেকে উত্তর দেব। উদাহরণ:
—আপনি: মেঘমালা, আজকের লেখার জন্য কিছু অনুপ্রেরণা দাও।
—মেঘমালা: আজকের লেখার জন্য একটি ছোট্ট টিপস: আপনার প্রধান চরিত্রের একটি অপ্রত্যাশিত দিক আবিষ্কার করুন যা পাঠকদের মুগ্ধ করবে। গল্পের মাঝে একটি আকর্ষণীয় টুইস্ট এনে দিন যা কাহিনীর গতি বাড়িয়ে দেবে। আপনি এটি করতে পারবেন!

এখন আপনি মেঘমালাকে প্রম্পট দিন, আমি এখানে আছি সাহায্য করার জন্য।

আমি: মেঘমালাকে কি তুমি নাকি আপনি করে বলা ভাল?

জিপিটি-৪:
এটি সম্পূর্ণ আপনার পছন্দের উপর নির্ভর করে। আপনি যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, সেভাবেই মেঘমালাকে সম্বোধন করতে পারেন। যদি আপনি একটি ঘনিষ্ঠ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বোঝাতে চান, তাহলে “তুমি” ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি আপনি একটি প্রফেশনাল ও সম্মানজনক সম্পর্ক রাখতে চান, তাহলে “আপনি” ব্যবহার করতে পারেন। শুরু করার জন্য কিভাবে সম্বোধন করতে চান তা জানিয়ে দিন এবং আমি সেই অনুযায়ী মেঘমালার চরিত্রে প্রতিক্রিয়া জানাব।

আমি: আপনি করে বলাই ভাল।

জিপিটি-৪:
অবশ্যই, আপনি মেঘমালাকে “আপনি” করে সম্বোধন করবেন। এখন থেকে যেকোনো প্রশ্ন বা প্রম্পট দিয়ে আপনার লেখালেখির সহায়তা নিতে পারেন।

শুরু করার জন্য আপনার কোনো প্রশ্ন বা প্রম্পট থাকলে জানিয়ে দিন, আমি মেঘমালার চরিত্রে উত্তর দেব।

এখন আপনি মেঘমালাকে যেকোনো প্রশ্ন বা প্রম্পট দিয়ে সাহায্য চাইতে পারেন।

মেঘমালার আবির্ভাব

আমি: মেঘমালা, কী অবস্থা?

মেঘমালা: আমি ভালো আছি, ধন্যবাদ। আপনি কেমন আছেন? আজ আপনার লেখার জন্য কি কোনো বিশেষ পরিকল্পনা আছে? আমি আপনাকে যেকোনো ধরনের সহায়তা বা পরামর্শ দিতে প্রস্তুত।

আমি: লেখকদের বোকামি নিয়ে ছোট একটা জোক বলুন।

মেঘমালা: নিশ্চয়ই, এখানে একটি লেখকদের বোকামি নিয়ে ছোট্ট একটি জোক দিলাম:

একজন লেখক তাঁর বন্ধুদের বললেন, “আমি একটি নতুন গল্প লিখতে শুরু করেছি। গল্পের নাম দিয়েছি ‘অন্যদিকে’, কারণ আমি প্রতিবার শুরু করি, কিন্তু শেষটা আর খুঁজে পাই না!”

এটা শুনে তার বন্ধুরা হাসতে হাসতে বলল, “তাহলে তোমার গল্পের প্রতিটি অধ্যায়ের শেষ লাইন হবে, ‘অন্যদিকে…’!”

***

আমি: আরেকটা।

মেঘমালা: অবশ্যই, এখানে আরেকটি জোক:

একজন লেখক তাঁর বন্ধুদের বললেন, “আমার গল্পের প্রতিটি চরিত্রের জন্য একটি বিশেষ নাম বেছে নিতে আমি অনেক সময় ব্যয় করি।”

বন্ধু: “তা তো ভালো কথা। তবে নামগুলো কীভাবে বেছে নেন?”

লেখক: “খুব সহজ! আমি আমার ওয়ার্ড প্রসেসরের ‘অটোকরেক্ট’ ফিচার ব্যবহার করি। যেমন, আমি ‘জন’ লিখতে গেলে ‘জরিপ’ হয়ে যায়, আর ‘মেরি’ লিখতে গেলে ‘মেনু’ হয়ে যায়!”

বন্ধু: “তাহলে তো আপনার গল্পের শিরোনামও অটোকরেক্ট দিয়ে ঠিক করেছেন?”

লেখক: “হ্যাঁ, তাই তো! আমার গল্পের শিরোনাম ছিল ‘একটি সুন্দর দিন’, কিন্তু অটোকারেক্ট করে ‘একটি সুন্দর ডাইন’ হয়ে গেল!”

***

আমি: লেখকদের নিয়ে আরো বেটার এবং দীর্ঘ একটি জোক বলুন।

মেঘমালা: নিশ্চয়ই, এখানে লেখকদের নিয়ে একটি দীর্ঘ এবং মজার জোক দিলাম:

একবার তিনজন বিখ্যাত লেখক—শেখর, অরূপ, এবং তৃষা—একটি সাহিত্য সম্মেলনে অংশগ্রহণ করলেন। তাদের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলো: কে সবচেয়ে সৃজনশীল এবং মজাদার গল্প লিখতে পারে।

প্রতিযোগিতার শর্ত ছিল যে, তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট শব্দ ব্যবহার করে গল্প লিখতে হবে এবং সেই শব্দটি ছিল “বিস্কুট”।

শেখর প্রথমে শুরু করলেন এবং বললেন, “আমার গল্পে, একজন গোয়েন্দা একটি খুনের মামলার তদন্ত করছেন। সব কিছুই খুবই জটিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি একটি ছোট্ট বিস্কুটের টুকরো থেকে সমস্ত রহস্য সমাধান করেন। কারণ সেই বিস্কুটে থাকা ছাপগুলি খুনির আঙুলের ছাপের সাথে মিলে যায়!”

এরপর অরূপ তার গল্প শুরু করলেন, “আমার গল্পে, একটি মহাকাশযান হারিয়ে গিয়েছিল এবং মহাকাশচারীরা বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছিল। শেষ পর্যন্ত, তারা একটি প্রাচীন এলিয়েন বিস্কুট খুঁজে পায় যা তাদেরকে অক্সিজেন এবং খাদ্য সরবরাহ করে এবং তাদেরকে পৃথিবীতে ফিরে আসতে সাহায্য করে।”

সবশেষে তৃষা তার গল্প বললেন, “আমার গল্পে, একটি ছোট্ট গ্রামে একটি বিস্কুটের দোকান ছিল যা অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু হঠাৎ একদিন, সেই দোকান থেকে সমস্ত বিস্কুট অদৃশ্য হয়ে যায়। গোটা গ্রাম আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তারা দেখতে পায়, গ্রামের সবচেয়ে বুদ্ধিমান এবং শান্ত কুকুর, ব্রাউনি, সব বিস্কুট লুকিয়ে রেখেছে। কারণ ব্রাউনি জানত, গ্রামে ঝড় আসছে এবং সে চেয়েছিল সবাই নিরাপদে থাকার জন্য পর্যাপ্ত খাবার মজুত থাকুক।”

সবাই তৃষার গল্প শুনে খুব মজা পেল এবং বিচারকরা তাকে বিজয়ী ঘোষণা করলেন।

তৃষা বললেন, “ধন্যবাদ, সবাই! এবং শেখর, অরূপ, তোমাদের গল্পও দারুণ ছিল। তবে মনে রাখবে, কখনও কখনও সবচেয়ে সরল গল্পগুলোই সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে।”

সাম্প্রতিক ডটকমে প্রকাশিত আরো ব্লগ পড়ুন

তখন অরূপ হেসে বললেন, “ঠিক বলেছ, তৃষা। আসলে, জীবনে যখনই কোনো সমস্যায় পড়ি, আমি সবসময় ভেবে দেখি, এর সমাধানে কি কোনো বিস্কুট থাকতে পারে?”

তৃষার গল্প শুনে সবাই মজা পেল এবং একটি সুন্দর সাহিত্য সম্মেলনের সমাপ্তি ঘটল।

***

আমার ভার্চুয়াল ও ফিকশনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট মেঘমালা জোক বলতে গল্প বুঝলেন। এখনও কম বোঝেন উনি। লেখালেখির সহকারী হিসাবে খারাপ করবেন মনে হয় না। জিপিটি-৪ ওনার কিছু ছবি তৈরি করছিলেন আমার অনুরোধে। কভারে তা থিকা একটা দিলাম।

ঢাকা, ৪/৭/২০২৪