নাসার পরিকল্পনা অনুসারে ২০২৪ সালের মধ্যে নভোচারীরা চাঁদে অভিযান পরিচালনা করবে। তবে তখন তাদের লক্ষ্য শুধু ছোটখাটো অভিযানের উপর থাকবে না। বরং আমেরিকান এই মহাকাশ সংস্থা বিভিন্ন বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদে গবেষণার জন্য অভিযানের প্রস্তুতি নেবে তখন। কিন্তু চন্দ্র দখলের এই স্বপ্নকে সত্যি করতে মানুষের সাহায্যের প্রয়োজন। তাই মূল অভিযানের আগে ভাইপার নামের একটি রোবট পাঠানো হচ্ছে।
ভাইপার (VIPER) নামের এই রোবটের পূর্ণরূপ হলো “ভলেটাইলস ইনভেস্টিগেটিং পোলার এক্সপ্লোরেশন রোভার”। নাসা রোবটটির ডিজাইনের কাজ একেবারে শেষের দিকে নিয়ে এসেছে।
২০২৩ সাল নাগাদ নাসা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে গলফ-কার্টের সমান এই রোবটটি পাঠাবে। ১০০ দিনব্যাপী এক অভিযানে রোবটটির কাজ হবে চাঁদের পৃষ্ঠতলের নিচ থেকে জমে থাকা বরফ খোঁজা। আগামিতে পরিচালিত বিভিন্ন অভিযানে চাঁদে জমে থাকা এসব বরফ থেকে পানি সংগ্রহ করা যাবে কিনা কিংবা সংগ্রহ করা পানি সেসব অভিযানে কাজে লাগানো যাবে কিনা তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা ভাবছেন।
ভাইপার প্রকল্পের ম্যানেজার ড্যান অ্যান্ড্রিউস জানিয়েছেন, “আমরা হয়তো পৃথিবী থেকে সবকিছু নিয়ে আসতে পারি, যেটা আমাদের ব্যাকআপ প্ল্যান। অথবা আমরা চাঁদে প্রাকৃতিকভাবে যা কিছু পাওয়া যায়, সেসব কাজে লাগিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে পারি।”
অ্যান্ড্রিউস এর আগে “লুনার ক্রেটার অবজারভেশন স্যাটেলাইট (LCROSS)” মিশনও পরিচালনা করেছেন। যে মিশনের মাধ্যমে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বরফ থাকাটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। কিন্তু পানি ঠিক কোথায় এবং কতটুকু আছে, তার নিশ্চয়তা এখনো পাওয়া যায়নি।
এখানেই আসে ভাইপারের কাজ।
রোভারটি এখনও প্রোটোটাইপ স্টেজে আছে। কিন্তু নাসার প্ল্যান হলো, মিশনের জন্যে বার বার অনুশীলনের মাধ্যমে ভাইপারকে প্রস্তুত করে গড়ে তোলা। মূলত স্পেকট্রোমিটারের মাধ্যমে বর্ণালি দিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানে থাকা বরফের স্তুপ খুঁজে বের করা, উত্তোলন করা এবং আরও গবেষণা করাটাই হবে ভাইপারের কাজ।
চাঁদ নিয়ে কাজ করা লজিস্টিকস প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাস্ট্রোবটিক’কে নাসা ২০০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে ভাইপারকে গ্রিফিন লুনার ল্যান্ডারে পৌঁছে দেয়ার জন্য। গ্রিফিন ল্যান্ডারকে পরবর্তীতে ‘স্পেসএক্স ফ্যালকন হেভি’ মহাকাশযানের মাধ্যমে বহন করা হবে।
সিনেট ডটকম অবলম্বনে আয়াত সাইরাস