বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস ‘জিঞ্জার জিন’ বা V6OL অ্যালিলের উদ্ভব ঘটেছে আজ থেকে ৫০,০০০ বছর আগে, যখন মানুষ ঠাণ্ডা আবহাওয়ার সন্ধানে আফ্রিকা ছেড়ে গিয়েছিল। সূর্য থেকে কম মাত্রার ভিটামিন ডি গ্রহণের মাধ্যমে এই জিন মানুষের গায়ের রঙকে হালকা করে তোলে।
স্পেনের ১,০০০ মানুষের জিন বিবর্তন নিয়ে গবেষণার ভিত্তিতে এটি উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা।
আয়ারল্যন্ডের ১০ ভাগ লোকের চুলের রঙ লাল। সব মিলিয়ে যুক্তরাজ্য আর আয়ারল্যন্ডে প্রায় বিশ মিলিয়ন মানুষের শরীরে এই জিন রয়েছে যার কারণে চুলের রঙ লাল হয়। দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলোতে এই জিন বেশ প্রভাবশালী।
তবে এই সাদাটে চামড়ার কারণে অসুখ বিসুখের আশঙ্কাও বেড়েছে, মেলানোমার কথাই ধরা যাক, সবচাইতে মারাত্মক ধরনের ক্যান্সার এটি। তবে গবেষক ড. সাইওয়া লোপেজ বলেন যে শুধুমাত্র লালচুল-জিনকেই এর জন্য দায়ী করা যাবে না।
তিনি জানিয়েছেন “গায়ের রঙের এই বদলের সমান্তরালে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়েছে। তবে এটা সারানো সম্ভব যদি আমরা ধরে নেই যে মেলানোমা জন্মগ্রহণের পরবর্তী সময়ের রোগ তাই কেউ যদি শরীরে এই রোগের বীজ বহন না করে তবে তা পরবর্তী প্রজন্মের উপর তেমন কোন প্রভাব ফেলবে না।”এই নতুন গবেষণা ২০১২ এর আরেকটা স্টাডি অনুসরণ করেছে। ২০১২ তে করা স্কটল্যান্ড ডি-এন-এ প্রজেক্টে দেখা গেছে স্কটিশদের আগুন লাল চুলের কারণ সেখানকার আবহাওয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে সেখানকার মনখারাপ করা আবহাওয়ার কারণে ধীরে ধীরে কিছু জেনেটিক পরিবর্তন এসেছে। তার মানে লাল চুল সূর্যালোকিত দিনে অন্য রঙের চুলের চাইতে বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে এবং এই জিনযুক্ত মানুষের শরীর রোদ থেকে বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি শুষে নেওয়ার সুযোগ দেয়।